About Dawah And Tableeg

“Tabligh Jamaat” is one of the most successful movements in modern times.
Alhamdulillah,
all types of people from Ulama to illiterate people are getting benefits through their Efforts of Deen.

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

আজীব কারগুজারী


তাবলীগের আজীব কারগুজারী
== মানুষ গড়ার কারখানা == 
______________________________________ 
পাকিস্তানের বিশিষ্ঠ ডাক্তার নূর 
আহমদ বলেন, আমি যখন-ই 
রায়বেন্ডে গমন করেছি নতুন
কিছু না কিছু পেয়েছি। একবার
গ্রীষ্মের সময় সেখানে গিয়ে
দেখলাম কুয়েতী রাষ্ঠরদূত
এসেছেন। তিনি বিভিন্ন রকম রোগে
ভুগছিলেন। মুরব্বীরা আমার সাথে
তাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি
ইংলিশে তাকে পুরো চিকিৎসাপদ্ধতি
বাতলে দিলাম। এতে তিনি খুব-ই আনন্দিত
হলেন। আমি তার নিকট রায়বেন্ড
আগমনের কারণ জানতে চাইলে
তিনি বললেন, আমার পুত্র অনেকটা
বখাটে হয়ে গিয়েছিলো। আমরা
স্বামী-স্ত্রী তার জন্য প্রার্থনা
করেছি অথচ শোধরানোর কোনো
রাস্তা পাইনি। আমি তাকে আমেরিকায়
প্রেরণ করলাম একটি কোর্স
কমপ্লিট করার জন্য। ছয়মাস
পরে যখন প্রত্যাবর্তন করলো
তখন দেখতে পেলাম তার
মুখভর্তি দাড়ি, মাথায় পাগড়ী,
পাক্কা নামাযী। এমনকি সে
তাহাজ্জুদও ছাড়ে না এবং
আমাদেরকেও তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে
জাগ্রত করে দেয়।
এতে আমি শোকর আদায় করলাম
এবং তাকে কাছে বসিয়ে এই বদলে
যাওয়ার কারণ জানতে চাইলাম। জবাবে
সে বললো, আমেরিকায় একটি
পাকিস্তানী জামাতের সাথে সে কিছুদিন
সময় লাগিয়েছিলো। তারই প্রভাবে
এই পরিবর্তন। সে আমাকে বারবার
উৎসাহিত করতো, আমি যেনো
রায়বেন্ডে গমন করে মানুষ
গড়ার এই কারখানা একনজর
দেখে আসি। তার অনুরোধেই আমার
এখানে আগমন।

শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সকাল-সন্ধ্যার কিছু যিকির-দুআ : অশেষ নেকী, আসমানী সুরক্ষা লাভ....

১. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,  আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকালে দশবার বলে
لا إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ؛ وَلَهُ الحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। তাঁরই রাজত্ব, প্রশংসা তাঁরই, আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশালী।) এর বিনিময়ে তার আমলনামায় একশত নেকি লিখে দেওয়া হয় এবং একশ গোনাহ মুছে দেওয়া হয়। আর এ বাক্যগুলো একটি গোলাম আযাদ করার সমতুল্য এবং এর দ্বারা ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে হেফাযত করা হয়। আর সন্ধ্যায় যে এ বাক্যগুলো বলে তারও অনুরূপ প্রাপ্য হয়। -মুসনাদে আহমাদ, ২/৩৬০ হাদীস ৮৭১৯
ফায়েদা : সুতরাং হাদীসে উল্লেখিত বাক্যগুলো ফজরের নামাজের পর দশবার ও মাগরিবের নামাযের পর দশবার পাঠ করি। এতে যেমন অশেষ নেকী হাসিল হবে তেমনি আল্লাহর পক্ষ হতে সুরক্ষাও পাওয়া যাবে।
২. আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বর্ষণমুখর অন্ধকার রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুঁজতে বের হলাম যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়েন। তাঁর সাথে যখন সাক্ষাৎ হল তিনি বললেন, ‘قل’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل  ’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل’ বল। আমি আরজ করলাম, আল্লাহর রাসূল! কী বলব? তিনি বললেন
قل هو اللَّه أحد ، والمعوذتين حين تمسي وحين تصبح ، ثلاث مرات تكفيك من كل شيء
‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ ও ‘মুয়াওয়াযাতাইন’ সন্ধ্যায় ও সকালে, তিনবার। এ (সূরাগুলো) সব  কিছু থেকে তোমার  হেফাযতের জন্য যথেষ্ট হবে। -মুসনাদে আহমাদ ৫/৩১২; সুনানে আবু দাউদ, আদব অধ্যায়; হাদীস ৫০৮২; জামে তিরমিযী, হাদীস  ৩৫৭৫
ফায়েদা : এ হাদীসে পাওয়া গেল যে, সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
৩. আব্দুল্লাহ ইবনে গাননাম আলবায়াযী রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকালে বলে-
اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لا شَرِيكَ لَكَ ، لَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
 (অর্থ, ইয়া আল্লাহ! এই সকালে আমার মাঝে বা আপনার যে কোনো সৃষ্টির মাঝে যা কিছু নেয়ামত, সব আপনারই তরফ থেকে। আপনি একক, আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং আপনারই হামদ, আপনারই শোকর।)
সে তার এ দিনের শোকর আদায় করল। আর যে সন্ধ্যায় (এ কথাগুলো) বলল সে ঐ রাতের শোকর আদায় করল। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৭৩; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ২৩৬১; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলা, ইবনুস সুন্নী ৪২
ফায়েদা : সন্ধ্যায় এ দু্আয় ‘مَا أَصْبَحَ بِي’-এর স্থলে বলতে হবে ‘ما أَمسى بي’ বাকী দুআ অভিন্ন। অর্থাৎ,
اللَّهُمَّ مَا أَمسى بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لا شَرِيكَ لَكَ ، لَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
অর্থ. ইয়া আল্লাহ! এই সন্ধ্যায় আমার মাঝে বা আপনার যে কোনো সৃষ্টির মাঝে যা কিছু নেয়ামত, সব আপনারই তরফ থেকে। আপনি একক, আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং আপনারই হামদ, আপনারই শোকর।)
-ইবনে নসীব